বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল ভারত
শারদোৎসবের আগেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে চলেছে। কারণ, ভারত ফের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল। ফলে সাধারণ বাংলাদেশির রান্নাঘর এখন ঝাঁঝহীন।
বিবিসি জানাচ্ছে, ভারতে পেঁয়াজের দাম তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার পর সরকার সব ধরণের পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে বন্যায় এবার গ্রীস্মকালীন ফসল মার খাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। বাজার অস্থির হয়। এর পরেই রফতানিতে লাগাম টানে সরকার।
ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে শুরু হচ্ছে কালোবাজারি। বিবিসি জানাচ্ছে, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্ত ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড। এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধ হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে যেমন পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে না বলেই নির্দেশ জারি হয়েছে। ধরে নেয়া হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে, সেই কারণেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি আপাতত স্থগিত।
বিবিসি জানাচ্ছে, ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ ভারত থেকে আচমকা বাংলাদেশ সহ সব দেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হয়েছিল। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রফতানিকারী দেশ। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ টন পেঁয়াজ রফতানি হয়।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায গত বছরের বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হয়েছিল। সেই রফতানি নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল কয়েক মাস। পরে পাকিস্তান ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটায় বাংলাদেশ।
এদিকে সোমবারেই শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে পাছিয়েছে টন টন ইলিশ। টানা কয়েক বছর পর ইলিশ রফতানি হওয়ায় কলকাতার মাছের বাজার সরগরম।