‘মাদ্রাসাগুলি লাদেন তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে’, বিস্ফোরক সায়ন্তন
ফের বি’তর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। ”লাদেন তৈরির কারখানায় পরিনত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলো।” সোমবার জলপাইগুড়িতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এদিন জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের বিজেপি নেতা কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। পরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলোয় একের পর এক লাদেন তৈরি হচ্ছে। হয় রাজ্যের পুলিশ সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নয়তো পুলিশ কিছুই জানতে পারছে না। এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপি নেতার। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সারা রাজ্য জুড়েই রেজিস্ট্রার বিহীন মাদ্রাসা ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে। আর সেইসব মাদ্রাসার চেহারা দেখেও চমকে যেতে হয়। দেখে মনে হয় যেন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিন সায়ন্তন আরও বলেন, ”এসব রেজিস্ট্রার বিহীন মাদ্রাসাগুলিতে কোথা থেকে এতো টাকা আসছে? পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার।পুলিশের কাজ শুধুমাত্র বিজেপিকে ঠেকানো। এনআইএ’র তদন্তে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে বলে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য সায়ন্তনের।
প্রসঙ্গত, জ’ঙ্গি ধরা পড়া নিয়ে রবিবারও চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। নবান্নকে জানিয়ে তল্লাসি ইস্যুতে সায়ন্তন বসু বলেন, নবান্নকে তল্লাশির কথা জানালে জ’ঙ্গি’রা পালিয়ে যেত।
তিনি বলেন, “শুনলাম রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এনআইএ-কে চিঠি দিয়েছেন, জানতে চেয়েছেন কেন তাঁদের না জানিয়ে অভিযান চালানো হল। উত্তর আমার কাছেই রয়েছে। নবান্নে খবর দিয়ে তল্লাশি হলে জঙ্গিরা পালাত।”
সায়ন্তন বসু আরও বলেন, “দিল্লি থেকে টিম এসে জ’ঙ্গি’দে’র গ্রেফতার করল, তাহলে ওখানকার পুলিশ কী করছিল? তবে কি পুলিশ সবটাই জানত?” সায়ন্তন বসু বলেন, “আমি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করব তদন্তের সময় রাজনৈতিক দিকও খতিয়ে দেখার জন্য।”