দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি দিলেন নুসরত-নিখিল, এভাবেই বারবার কট্টরপন্থীদের দেখান বুড়ো আঙুল!
কলকাতার পুজো মানে মানে শুধু পুজো-আচ্চা আর ধর্মীয় আচার নয়, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের নজির বারবার তুলে ধরে আসছে এই মহানগরীর দুর্গাপুজো। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অসহনীয়তার আবহেও কলকাতার পুজো বরাবরের মতো স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখল। অষ্টমীতে সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপে একসঙ্গে অঞ্জলি দিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, তাঁর স্বামী নিখিল জৈন। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যিনি সুরুচির পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা। নুসরত, সৃজিত, মিথিলারা মণ্ডপ চত্বরে একসঙ্গে ঢাক বাজালেন, নাচলেন। ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাতলেন শারদোৎসবে।
এর আগেও বারবার নুসরতকে ট্রোলড হতে হয়েছে বিভিন্ন হিন্দু আচার পালনের জন্য। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ের পর সিঁদুর পরে সংসদে প্রথম বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই কট্টরপন্থীদের কড়া নজরে পড়েন তিনি। নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি হিন্দুদের মতো কেন সেজেছেন? এর উত্তরে নুসরত ট্যুইটে লেখেন, তিনি সব ধর্মকেই সম্মান করেন। আর তাঁর পরিধান নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। তিনি সিঁদুর পরতেই পারেন।
গত বছরও সিঁদুর খেলায় অংশ নেন নুসরত। তারপরই তাঁকে ছেড়ে কথা বলেনি কট্টরপন্থী নেটিজেনরা। ২০১৭ সালেও পুজোয় অংশ নেওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে রীতিমতো কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।
Paying heed or reacting to comments made by hardliners of any religion only breeds hatred and violence, and history bears testimony to that.. #NJforInclusiveIndia #Youthquake #secularIndia pic.twitter.com/mHmINQiYzj
— Nusrat Jahan Ruhi (@nusratchirps) June 29, 2019
সম্প্রতি দুর্গার সাজে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করেন নুসরত। তারপরও একের পর এক বিরূপ মন্তব্য আসতে শুরু করে কমেন্ট বক্সে। কিন্তু এসবকে তিনি যে মোটেই গুরুত্ব দেন না, তা প্রমাণ করে দেন কাজেই। সমালোচকদের পাত্তা না দিয়েই কখনও রথের রশি টানেন, ইদের আনন্দে গা ভাসান, আবার দুর্গা পুজোয় ঢাকও বাজান।